What is the reason for beef price increase

0

দেহের সুস্থতার জন্য আমিষের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। আর সেই আমিষের বৃহৎ ভাণ্ডার গরুর মাংস। গরুর মাংসে যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ আছে, তা অন্য অনেক খাবারেই নেই। গরুর মাংস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পেশি, দাঁত ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে এবং ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শরীরের বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বাড়াতে ভূমিকা রাখে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। এছাড়া, ভালো রাখে দৃষ্টিশক্তি। অতিরিক্ত আলসেমি-ক্লান্তি দূর করে কর্মোদ্যম রাখে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।

Beef Price in Bangladesh


বর্তমান সময়ে দেশের সকল গণমাধ্যমেই গরুর মাংসের দামের উর্দ্ধগতি নিয়ে বিভিন্ন রির্পোট আমরা দেখে থাকি । তবে এই সমস্যাটি কিন্তু নতুন নয় বরং বিগত এক দশক ধরেই বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত গরুর মাংসে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । 


আমরা যদি গত ৫ বছরের গরুর মাংসের দামের দিকে তাকাই তবে আমরা দেখতে পারবো ।

গত, ২০১৯ সালে গরুর মাংসের দাম ছিল ৪৫০ টাকা কেজি কিন্তু ২০২০ সালে সেটা হয়ে যায় ৫৫০ টাকা কেজি এবং ক্রমানয়ে ২০২১ সালে ৬০০ টাকা কেজি, ২০২২ সালে ৬৫০ টাকা কেজি এবং সর্বশেষ ২০২৩ অর্থবছরে ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি । 


২০০৯ সালে যেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংস ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া যেত সেখানে ২০২৩ সালে এসে গরুর মাংসের দাম ছাড়িয়ে গেছে ৭৫০-৮০০ টাকায় । অর্থাৎ, গত ১৪ বছরে দাম বেড়ে দাড়িয়ে ৪ গুণ । যেখানে পার্শবতী দেশ ভারতে গরুর মাংসের দাম গড়ে প্রতি কেজি ৩৫০ রুপি কেজি আর পাকিস্থানে ৩০০ রুপি কেজি । যা বাংলাদেশের গরুর মাংসের দামের তুলনায় অধেক বা তারও কম। 


beef price increase

ভারত পাকিস্থান ছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে যাদের গরুর মাংসের জন্য সম্পূর্ণ আমদানির উপর নির্ভর করতে হয় । সে সব দেশে গরুর মাংসের দাম ৪০০-৬০০ টাকা কেজিতেই সীমাবদ্ধ । কিন্তু বাংলাদেশ প্রাণীজ প্রোটিন উৎপাদনের যেখানে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০-৮০০ টাকা কেজি । 

তাহলে, বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম কেন বেশি? আমাদের আজকের প্রতিবেদনে সেই বিষয়টি তুলে ধরবো । চলুন প্রতিবেদনটি পর্যলোচনা করা যাক । 



reason for beef price increase



বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ গবাদিপশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে । বর্তমানে প্রতিবছর বাংলাদেশের ৭৬ লাখ মেট্রিক টন আমিষ বা মাংসের চাহিদা থাকলেও সেখানে বাংলাদেশে প্রতিবছর ৮৭ লাখ মেট্রিক টন এর চেয়েও বেশি মাংস উৎপাদন করছে । যার প্রায় সিংহভাগ মাংসই গরুর । 


ডিএলএসের তথ্য অনুসারে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মাংসের উৎপাদন ছিল ৮৭ দশমিক ১০ লাখ টন। তখন চাহিদা ছিল ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ লাখ টন। অর্থাৎ, উদ্বৃত্ত ছিল ১১ লাখ টন।


২০১৭-১৮ অর্থ বছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত দেশে উৎপাদিত গবাদি পশু দ্বারাই বাংলাদেশের কুরবানির চাহিদা পূরণ হয়ে আসতেছে । ২০২২-২৩ অর্থবছরে কোরবানির জন্য যেখানে ১ কোটি গবাদি পশুর চাহিদা ছিল সেখানে সমগ্র বাংলাদেশে লালন পালন করা হয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ গবাদি পশু । অর্থাৎ বর্তমান চাহিদার থেকে বেশি গরু বা গবাদি পশু দেশেই উৎপাদন হচ্ছে । 


গবাদি পশু উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে ১৩২০০ মেট্রিক টন গরু ও মহিষের হিমায়িত মাংস আমদানি করা হয়েছে । যার বাজার মূল্য ছিল ৫৭৭ কোটি টাকা । বাংলাদেশে চাহিদার তুলনার গবাদি পশু উৎপাদন বেশি হওয়ায় এবং আমদানি সত্ত্বেও গরুর মাংসের দাম লাগালের বাহিরে। 


২০২১ সালে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি কেজি বাজার মূল্য দাড়ায় ৬০০ টাকা । কিন্তু ২০২২ সালে এসে সেই মাংসের দাম বৃদ্ধি পায় ৬৫০-৭০০ টাকা কেজি । আবার, ২০২৩ সালে হঠাৎ করেই গরুর মাংসের দাম ৯০০ টাকার ছাড়িয়ে গিয়েছিল ।


সরকারি বিভিন্ন সহয়তায় ও ভোক্তার অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে যদিও ৯০০ টাকার নিচে দাম নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস কিনতে ভোক্তাকে গুনতে হয় ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত । যা আমাদের সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসাধ্য ও বিলাসিতা।


গরুর মাংসের আন্তর্জাতিক গড় বাজার মূল্য ৫ ডলার বাংলা টাকায় ৫৫০ টাকা । প্রতিবেশি দেশ ভারতে গরুর মাংসের গড় বাজার মূল্য ২৫০-৩৫০ রুপি কেজি অর্থাৎ বাংলা টাকায় ৩৩০-৪৬২ টাকা । অন্যদিকে পাকিস্থানের প্রতি কেজি গরুর মাংসের গড় বাজার মূল্য ৮০০ রুপি টাকা যা বাংলাদেশের টাকায় ৩০০ টাকা প্রায় । বাংলাদেশের গরুর মাংসের দাম পাকিস্থানের ও ভারতে তুলনায় ৩ গুণ বেশি । অর্থনৈতিক দুর্দশাগ্রস্ত শ্রীলঙ্কায় যেখানে প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ২০০০ রুপি যা বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ৭০০ টাকা । 


এখানে অবাগ করা বিষয় হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলো সৌদি আরব বা আরব আমিরাত এর মতো দেশগুলোতে যেখানে গরুর মাংস উৎপাদনই হয় না । পাকিস্থান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রাজিল থেকে আমদারি উপর নির্ভর করতে হয়, সেখানে গরুর মাংসের প্রতি কেজির দাম ২০ রিয়াল কিংবা ২০ দিরহাম অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ৬০০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে । শুধু তাই নয় মধ্যপ্রাচ্যর দেশ গুলোতে পাওয়া গরুর মাংস গুলো তারা অনেক নামিদামি ব্রান্ডগুলোর কাছে থেকেই আমদানি করে । যারা গবাদি পশু লালন-পালন থেকে শুরু করে মাংস উৎপাদন পর্যন্ত সঠিকভাবে সার্টিফিকেশন মেনে চলেন এবং মাংস রপ্তানি করেন  । যেখানে বাংলাদেশের বেশির ভাগ গরুর মাংস খোলা বাজারে বিক্রি হয় এবং গবাদি পশু লালন-পালনেও নেই সঠিকভাবে সার্টিফিকেশন চলার জটিলতা । তবুও বাংলাদেশের খোলা বাজার থেকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ক্রয় করতে সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা । যা নিম্নবিত্তদের জন্য অসাধ্য । 



বিবিসি নিউজ এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মাংসের উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে বাজারের দাম অনেক বেশি’

” বর্ণনা - সম্প্রতি সিপিডি তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে যে, আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে মাংসের দাম বেশি। সংস্থাটি বলেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চার সদস্যের পরিবারে প্রতি মাসে খাবার খরচ ছিল ১৮ হাজার ১১৫ টাকা। মাছ-মাংস বাদ দিলে সেই খরচ ছিল ৫ হাজার ৬৮৮ টাকা। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় চার সদস্যের পরিবারে প্রতি মাসের খাবার খরচ হয়েছে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা এবং মাছ-মাংস বাদ দিলে সেই খরচ এখন ৭ হাজার ১৩১ টাকা। অর্থাৎ পরিবারপ্রতি খাবার খরচ বেড়েছে। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রতিবেদনটি প্রকাশকালে সাংবাদিকদের বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারের দামের সাথে যদি তুলনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে বাংলাদেশে যে দামগুলো সেটা কিন্তু বরাবরই উপরের দিকে।" "ব্যয়গুলো অনেকসময় উৎপাদনমুখী হয় না। সেই ধরনের ব্যয়ের মধ্যে লাগাম টেনে ধরবার একটা বিষয় রয়েছে। বাজার তার মতো কাজ করতে পারে না বাজারে অনেক ধরনের অসামঞ্জস্যতা তৈরি হয়" - বলেন তিনি। 


কনজিউমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলছেন, যেভাবে বাজারে মাংসের দাম বাড়ছে - তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিবিসিকে তিনি বলেন, “বাজারে মাংসের অস্বাভাবিক মূল্য। প্রকৃত যে উৎপাদন ব্যয় তার চেয়ে বাজারের দাম অনেক বেশি। বাংলাদেশ পোলট্রি এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা রেডি ফিডের দাম বেড়েছে প্রায় তেরোশো'র বেশি। “এক বছর আগে রেডি ফিডের দাম ছিল ২৪০০ টাকা, ৯ই মার্চ দাম বাড়ানোর পরে হয়েছে ৩৭৪০ টাকা। কত উৎপাদন খরচ হচ্ছে, ফিড নিরাপদ আছে কিনা - এদিকে নজর দেয়া দরকার।" "এক কেজি গরুর মাংস ৪৫০ টাকার উপরে খরচ নাই বাংলাদেশে। কিন্তু কিনে খেতে হচ্ছে মাঝেমধ্যে ৮০০ টাকায়। দুঃখজনক। ব্রয়লার মুরগীর উৎপাদন খরচ ১৯০ টাকায় কিন্তু বিক্রি করতে হচ্ছে ১৫০ টাকায় এটাও দুঃখজনক। ” – বলেন বাংলাদেশ পোলট্রি এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সুমন হাওলাদার। 


এছাড়াও বিবিসি নিউর এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমান গবাদি পশুর খামার ৪.২০ লাখ । দুধ উৎপাদন হয় ১৩০.৭৪ লাখ মেট্রিক টন এবং বাংলাদেশে কোরবানির পশুর চাহিদা ৯৭ লাখ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্র অনুযায়ী এ বছর (২০২৩) ঈদ উল আযহায় সারাদেশে মোট ০১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২ টি গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে।


দ্যা ডেইলি স্টার বাংলার এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্য তালিকায় দেখা যায়, উদ্বৃত্ত থাকা সত্ত্বেও ঢাকার ক্রেতাদের ব্রয়লার মুরগির মাংসের জন্য ১০ শতাংশ ও গরুর মাংসের দাম আগের বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ টাকা বেশি গুনতে হয়েছে। ডিএলএস কর্মকর্তা, পোল্ট্রি ব্রিডার ও গরুর খামারির ডিএলএসের উদ্বৃত্ত উত্পাদনের তথ্যকে সমর্থন করলেও মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে তারা পশুখাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও অন্যান্য কারণকে দায়ী করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির নিয়ম অনুযায়ী চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যায়। আবার সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি হলে দাম বাড়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ থাকলে দাম কমে যাওয়া স্বাভাবিক। এখানে হয় চাহিদাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে, নয়তো সরবরাহকে অতিমূল্যায়ন করা হয়েছে।' তিনি আরও বলেন, জীবনযাত্রার পরিবর্তনের কারণে চাহিদার পরিবর্তিত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, কয়েক ধরনের মুরগির রেসিপি থাকায় মুরগির মাংসের চাহিদা বেড়েছে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রধান বাপন দে উৎপাদন ও চাহিদা নিয়ে ডিএলএসের তথ্যে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, 'ডিএলএসের তথ্যের সত্যতা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই। এই তথ্য ও বাস্তবতার মধ্যে অনেক ফারাক আছে। এই তথ্য অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।' বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন সাজেদা আক্তার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সরকারের সংস্থাগুলোর হিসাব ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই উৎপাদন ও চাহিদার তথ্যের মধ্যে পার্থক্য আছে।' তার মতে, বেশি দাম বা দাম কমে যাওয়া শুধু উৎপাদন ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে না। বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআরওএ) মহাসচিব ইমরান হাসানও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, 'চাহিদার তুলনায় মাংসের উৎপাদন বেশি হলে বাজারে এর প্রভাব পড়ত। দাম এখনকার চেয়ে কম হতে পারত। কিন্তু এটাই শেষ বাস্তবতা নয়।' গতকাল ১ কেজি গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের ৭৮০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে। ২ বছর আগে এই দাম ছিল কেজিপ্রতি ৬০০ টাকা। গরু ও খাসির মাংসের উচ্চমূল্যের এই পরিস্থিতিতে হোটেল মালিকরা চলতি সপ্তাহের শুরুতে বাজারে প্রাণিজ প্রোটিনের সরবরাহ ও বিক্রি বাড়াতে মাংস আমদানি সহজ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ এমরান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পশুখাদ্য, পরিবহন ও বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে।' তাই মাংস উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও দাম বাড়ছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, 'গত ১ বছরে প্রায় সব ফিডের দাম ৫০ শতাংশ বেড়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ। পরিবহন খরচ হয়েছে দ্বিগুণ।' তার দাবি, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উৎপাদন খরচ কমে গেলে দামও আপনাআপনি কমে যাবে।


এছাড়াও আমরাদের আমাদের গবেষণায় পেয়েছি বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পেছনে রয়েছে বিদেশী উচ্চ ফলসীল গরুর জাতগুলো । যা বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উপযুক্ত প্রজনন সক্ষম নয়  । এছাড়াও এই জাতের গরুর লালণ-পালন অনেক ব্যয় বহুল ও চিকিৎসা খরচও অধিক । উন্নত দেশ গুলোতে যেমন মানুষের খাদ্য উৎপাদনের পাশাপাশি গাবাদি পশুর জন্য আলাদা ভাবে খাদ্য উৎপাদন করা হয় কিন্তু বাংলাদেশে আজও অনেক খাদ্য বিদেশ থেকে আমাদানির উপর নির্ভরশীল । যেখানে গবাদি পশুর খাদ্য চাহিদা ব্যপক থাকায় দাম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে এছাড়াও পরিবহন খরচও দ্বিগুন । 


সব কিছু হিসাব করলে দেখা যায় বাংলাদেশের প্রায় সকল ব্যবসায় সিন্ডিকেট  এর আওতাভুক্ত । যেখানে ব্যবসায়ীদের পরতে হচ্ছে না রকম বাধায়  । আর সাধারণ মানুষকে দিতে হচ্ছে চরম মূল্য । 



চলুন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বর্তমান প্রতিবেন দেখে শেষ করা যাক ।


Beef










Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)